বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ কারি শিক্ষার্থীদের টুকাই বলায় কুলাউড়ার ইয়াকুব তাজুল মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল । ১১ই আগস্ট সকাল ১০ টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধাচারকারী ও স্বৈরাচারী সরকারের পৃষ্ঠপোষক অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদে এর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ব্যানারে ইয়াকুব তাজুল মহিলা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ পালন করে। এসময় তাদের এক দফা দাবির স্লোগানে কম্পিত হয় ইয়াকুব তাজুল মহিলা কলেজের ক্যাম্পাস। এ সময় শিক্ষার্থীরা উপস্থিত সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলে যখন সিপার উদ্দিন আহমেদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ কারীদের হুমকি দেয় এবং অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করেন তখন কি সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ ছিলেন না? ভিডিও ক্লিপ কি কারো কাছে নেই? প্রসঙ্গত অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ একাধারে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র ও ইয়াকুব তাজুল মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল।
সমাবেশ কালে শিক্ষার্থীরা আরো বলেন যে শিক্ষক সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকেনা, তাদের পিছনে গুন্ডা লেলিয়ে দেয়, হুমকি ধমকি দেয় এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারেনা এমন শিক্ষক তারা চান না। তাই অতিবিলম্বে সিপার উদ্দিনকে পদত্যাগ করতে হবে। যদি তিনি পদত্যাগ না করেন তাহলে তারা সকল ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করবেন।
সমাবেশ কালে ইয়াকুব তাজুল মহিলা কলেজের শিক্ষকরা ছাত্রীদের শান্ত করার চেষ্টা করার সময় বলেন পদত্যাগ একটি জটিল বিষয় হুট করে প্রিন্সিপালকে বহিষ্কার করা যায় না, তাই সবাইকে শান্ত হয়ে ক্লাসে ফিরে আশার আহ্ববান যানান। এ সময় শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে কলেজের শ্রেণিকক্ষে তালা মেরে দেয় ও কলেজের প্রধান গেইটে অবস্থান নেয় এসময় তারা কাউকে কলেজ থেকে বের না হওয়ার আহ্ববান জানান।
ইয়াকুব তাজুল মহিলা কলেজের বিক্ষোভ সমাবেশের ঘটনা ও পরিস্থিতি কুলাউড়ার অস্থায়ী সেনাবাহিনী ঘাটিতে পৌঁছালে তাৎখনাত সেনা অফিসার হাসানের নেতৃত্বে একটি চৌকস সেনাবাহিনীর দল কলেজে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
সেনাবাহিনীর দল পৌঁছানোর পর ইয়াকুব তাজুল মহিলা কলেজের সকল শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে একমত পোষণ করে সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের শাক্ষরিত সারকলিপি কুলাউড়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমেদ এবং সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মোঃ আদনান রহমানের কাছে প্রদান করেন। এ সময় সেনাবাহিনী ক্যাপ্টেন শিক্ষার্থীদের কাছে সময় চেয়ে বলেন তাদের ক্লাসে ফিরে যেতে কিন্তু শিক্ষার্থী তাতে রাজি না হয়ে তাদের ১ দফা দাবির আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানিয়ে দেয়। পরে সেনা অফিসার ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক আলোচনার পর শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার সময় দেন। তারা জানান যদি ২৪ ঘন্টার ভিতর তাদের দাবি মেনে নিয়ে অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন পদত্যাগ না করেন তাহলে তারা আরো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিবেন। এ সময় কিছু সংখ্যক অভিভাবক জানান শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক যদি ১ দিনে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করতে পারেন তাহলে একজন অধ্যক্ষ কেনো পারবে না।
একদম ঠিক কাজ করেছে শিক্ষার্থীরা। সিপার শুধু কুলাউড়া পৌরসভা নয় কলেজের অনেক টাকা মেরে খেয়েছে।