কেমন কুলাউড়া চাই?

লেখেছেনঃ ফজলে আবিদ খান প্রধান সম্পাদক মুগ্ধ২৪

ছাত্র জনতার একতাবদ্ধ গণ আন্দোলনের ফলে আগষ্টের ৫ তারিখ দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাকশাল মুক্ত হয়। আজ আমি স্বাধীন ভাবে সম্পাদকীয় লেখতে পারছি কোন বাদা ছাড়া। আমার সম্পাদকীয়র আজকের বিষয় কেমন কুলাউড়ার চাই?

কেমন কুলাউড়া চাই? যে জায়গায় আমার শৈশব কৈশর পার করেছি এবং যে জায়গা নিয়ে আমি প্রতিদিন আগামীর স্বপ্ন বুনি সে জায়গাটার নাম হলো কুলাউড়া। আমরা যখন কুলাউড়ায় ছিলাম সব সময় একটা বন্ধন ছিল, সেটা হোক রাজনৈতিক ভাবে, সেটা হোক সামাজিক ভাবে, সেটা হোক ধর্মীয় ভাবে।

কিন্তু গত ২০১৬/২০১৭ পর থেকেই সেটা আমি মনে করি নাই। আমরা দেখেছি আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন ছাড়া অন্য কোন দল রাজপথে থেকে ১০ মিনিটের বেশি মাঠে থাকছে পারেনি। পুলিশলীগ ও আওয়ামীলীগ একদলীয় শাসন কায়েম করতে লাটিশটা নিয়ে মাঠ দখল নিতো। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় আমরা দেখেছি বিএনপি সহ বিরুধী রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী সহ সমর্থকদের বন জঙ্গলে রাত জাপন করতে। এটা কোন ভাবেই কাম্য নয়।

এই ২০২৪ সালে এসে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে আমার চাওয়া থাকবে সকল দলের অংশ গ্রহনে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতি না হয়। এবং একই প্রত্যাশা থাকবে জনগনের ভোটে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক ভবিষ্যতে যাতে অন্য দল গুলোর উপর এ ধরনের পরিস্থিতি শিকার না হয় তার নিশ্চিয়তা দেয়া।

আওয়ামী সরকারে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল উপজেলার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনকে নিয়ন্ত্ৰণ করতে না পারা। আগামীতে যাঁরাই ক্ষমতায় আসুন তাদের উচিত হবে দলীয় সংবিধান সংশোধন করে কেন্দ্রীয়, বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা ইউনিয়ন পর্যায় কেউ যাতে টেন্ডার বাজী চাঁদা বাজী সহ দলীয় পরিচয় বহন করে ব্যবসা না করতে পারে সে ব্যবস্থা করা। এ ধরনের অপরাধে দলীয় ভাবে বহিস্কৃত করা এবং আইনের মাধ্যমে সাঁজার ব্যবস্থার নিশ্চিয়তা করার আহবান জানালাম। কারণ এই কুলাউড়ারই আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতা দেখেছি যাঁদের বাই সাইকেল কিনার সামর্থ ছিল না তারা এলিয়ন গাড়ি ছাড়া চলে না।

গত সাড়ে তিন বছরে মেয়র সাহেব টাকার পাহাড় গড়েছেন কিভাবে জানতে চায় আমার মন। আমার বাবা কুলাউড়া সরকারী কলেজের অধ্যাপক ছিলেন দেখতাম কিভাবে তিনি চলা ফেরা করতেন। কিন্তু অধ্যক্ষ সাহেবের কি সোনার প্রদিপ ছিল ২ বছরে কুলাউড়া শহরের প্রাণ কেন্দ্রে ৪ তলা মার্কেটের কাজ ২ বছরের মধ্যে শেষ করে চালু করে ফেলতে পারেন। আগামীর কুলাউডায় যাতে এরকম কোন মেয়র জন প্রতিনিধি না আসে সাধারন জনগনকে নিশ্চিত করতে হবে।

সামাজিক সংগঠন গুলোর নেতৃত্ব যাতে সংগঠকদের হাতে থাকে কোন রাজনৈতিক নেতার কাছে না যায় সে ব্যাপারটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। একই ভাবে সংগঠকরা যাতে মুক্ত ভাবে কাজ করতে পারে কোন জন প্রতিনিধিকে যাতে প্রভু না বানায় সে ব্যাপারটা ও মাথায় রাখতে হবে। সাবেক মেয়র সাহেব কুলাউড়ার সামাজিক ও খেলাধূলাকে কিভাবে ধ্বংস করছে আমরা দেখেছি।এ ব্যাপারে শুধু মেয়রকে দায়ী করলেই হবেনা কিছু চামচা সংগঠক রা দায় এরাতে পারেন না।এসব চামচা সংগঠকদের থেকে সামাজিক সংগঠন গুলো বেরিয়ে আসতে হবে।

ধর্মীয় দিক থেকে ছোট বেলার সংস্কৃতিতে ফিরে যেতে হবে। ধর্ম যারা যার উৎসব ও তার কিন্তু নিরাপত্তার দায়িত্ব সবার এ স্লগান সামনে রেখে এগুতে হবে। কেমন কুলাউড়া চাই আজকে এ পর্যন্তই কিন্তু প্রতি সপ্তাহে চলমান থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *